অনলাইন ডেস্ক
করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট ক্রান্তিকালে ক্ষতিগ্রস্ত শিশু এবং তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা এডুকো। সংস্থাটি সাড়ে সাত হাজার শিশু ও তাদের পরিবারকে খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা দিয়েছে।
এছাড়া মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত ৭ হাজার ৬৮৪টি পরিবারকে এই কার্যক্রমের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা, খাদ্য এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষার পণ্য সামগ্রীও সরবরাহ করা হয়েছে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ধারাবাহিকভাবে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। বৃহস্পতিবার (০৪ জুন) পর্যন্ত দেশে ৫৭ হাজারেরও বেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৭৮১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এডুকো বাংলাদেশ এই অবস্থায় স্বল্প আয়ের মানুষ ও তাদের পরিবারের শিশুদের উপর করোনার প্রভাব নিয়ে দারুণভাবে উদ্বিগ্ন।
এ বিষয়ে এডুকো বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর আব্দুল হামিদ জানান, জাতীয়ভাবে লকডাউন শিথিল হবার পরও স্বল্প আয়ের অনেক মানুষের জীবিকা নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়বে। প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রে কর্মরত অনেকেই চাকরি হারাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অভিজ্ঞতা থেকে আমরা বুঝতে পারছি যে, এই ধরনের আর্থিক ক্ষতি পরিবারের শিশুদের সুস্বাস্থ্য এবং সামগ্রিক মঙ্গলের উপর স্থায়ী প্রভাব ফেলবে। স্কুল বন্ধ থাকা এবং সকল ক্ষেত্রে শিক্ষার বিকল্প সুযোগ না থাকায় তারা আরও বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
এই মানবিক কার্যক্রমের মাধ্যমে এডুকো ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫ হাজার ৪১৪টি পরিবারকে মোবাইল ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে। এই সহায়তা কার্যক্রমের মাধ্যমে এডুকো বিভিন্ন বস্তিতে বসবাসরত ও ‘অধিকার’ প্রকল্পের আওতাভুক্ত শ্রমজীবী ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রতিটি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা বাবদ ১ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও রাজশাহী এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় এডুকো বাংলাদেশ সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত সমতলে বসবাসরত ১ হাজার আদিবাসী পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে।
রাজবাড়ী এবং ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন যৌনপল্লিতে বসবাসরত শিশুদের সাহায্য করার উদ্দেশ্যে ১ হাজার ২৭০টি খাদ্য এবং স্বাস্থ্য-সুরক্ষা পণ্যের প্যাকেজ সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়াও একই এলাকায় ২৮০টি প্যাকেট শিশুখাদ্য দেয়া হয়েছে। এডুকো মাঠ পর্যায়ে ইকো সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও), সচেতন এবং শাপলা মহিলা সংস্থা (এসএমএস)-এই তিন সংস্থার সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এই কার্যক্রম সামগ্রিকভাবে পরিচালনা করেছে।